"এনকাউন্টার করে মারার আইন আনা উচিত" : অভিষেক
Kolkata: আরজিকর হাসপাতালের খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু মুখ খোলাই নয় এরকম অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীর বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন ডায়মন্ড হারবারারের সাংসদ। এদিন তিনি বলেন, "যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও নারকীয়। রাজ্য সরকারের অবস্থানের কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। কিন্তু আমাদের দেশের আইন এমন যে আমরা চাইলেও অনেককিছু করতে পারি না। আমাদের হাত বাঁধা। এরকম ঘটনা যারা ঘটনায় তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। বিচার হবে, রায় হবে। তারপর তাদের ফাঁসি কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে । কিন্তু যে ঘটনা ঘটিয়েছে সে পুলিস, নাকি ইঞ্জিনিয়ার, খেলোয়াড়া নাকি রাঁধুনি, নাকি আর্কিটেক্ট তা দেখার প্রয়োজন নেই।"
সৌজন্যে: ফেসবুক |
অভিষেক বলেন, "প্রতিটি ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা আমাদের একটা কালচার হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি রাজনৈতিক দল পতাকা নিয়ে বসে পড়েছে। আমরা যদি সত্যিই চাই যে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হোক তাহলে আইনসভায় সংশোধন করে অর্ডিন্যান্স আনুন, ৬ মাস পরে বিল আনুন যাতে সাত দিনের মধ্যে বা এক মাসের মধ্যে এদের ব্যবস্থা হয়। যাদের সরকার রয়েছে তারা অর্ডিন্যান্স করে ইডি ডিরেক্টরের মেয়াদ বাড়াতে পারেন। তাহলে একজন ধর্ষকের ৭ দিন যাতে বিচার হন তার জন্য অর্ডিন্যান্স আনতে পারেন না কেন ? বিজেপির পতাকা নিয়ে যারা বসে পড়েছেন তাদের উচিত তাদের নেতৃত্বকে বলা আপনারা এমন একটা আইন আনুন যাতে ৭ দিনে বিচার হয়। তৃণমূল, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের উচিত সেই বিলকে সমর্থন করা। তা না করে আমরা রাজনীতি করছি। আমাদের সমাজ এমন, যে কোনও ঘটনা না ঘটলে আমাদের ঘুম ভাঙে না। নির্ভয়া হয়েছিল ২০১২ সালে দিল্লিতে। তারপরে একের পর এক ঘটনা তা সে উত্তর প্রদেশে ঘটুক, মহারাষ্ট্রেই ঘটুক বা গুজরাটে, তার সমাধানের জন্য কলঙ্কজনক। কেন বিচার হতে ৫ বছর লাগে ? একজন মায়ের কোল খালি হয়ে গেল ! একজন বাবা তার মেয়েকে হারাল !। এক প্রতিবাদ সবাইকে করতে হবে। বিজেপি বলছে সিবিআই চাই। সিবিআই তদন্ত করে মেয়েটা ফিরে আসবে ? এটা যদি উত্তরপ্রদেশ হতো তাহলে মৃতদেহটাও পাওয়া যেত না। 'হাতরাসে' ধর্ষণকের খুন করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও কী ধর্ষণ বন্ধ হয়েছে ? আইন তৈরি না করলে এর বদল হবে না। "
নজর রাখুন পরবর্তী খবরের জন্য,
Comments
Post a Comment